softdeft

দলের আদর্শে অটল এক সৈনিক – শরিফুল ইসলাম

দলের আদর্শে অটল এক সৈনিক – শরিফুল ইসলাম

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র রাজনীতিতে শরিফুল ইসলাম একজন সাহসী, নিবেদিতপ্রাণ ও আদর্শিক নেতা হিসেবে সুপরিচিত। রাজনীতি তাঁর জন্য শুধুই পেশা নয়, বরং একটি সাধনার নাম—যার প্রেরণাসূত্র ছিলেন তাঁর পিতা, বিএনপির ত্যাগী নেতা মরহুম মতিয়ার রহমান।

নব্বইয়ের দশকে মতিয়ার রহমান বিএনপির মনোনয়নে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে ৫নং মটমুড়া ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হন। তাঁর সততা, জনপ্রিয়তা ও আদর্শিক দৃঢ়তা আজও এলাকার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

এই আদর্শেই বড় হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মহাম্মদপুর গ্রামে তিনি সাহসের সঙ্গে বিএনপির পতাকা উড়িয়েছেন। মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমরদ ও ৭৪ মেহেরপুর-০৩(গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হক সাগরের মতো প্রভাবশালী নেতাদের মোকাবিলা করে তিনি বিএনপির অবস্থান অটুট রেখেছেন।

রাজনৈতিক জীবনে বহুবার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে ওয়ান-ইলেভেন, ২০১৮ সালের নাশকতা মামলা কিংবা “ক্লিন হার্ট” অভিযানের সময় বারবার তাঁকে কারাবরণ ও নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু কোনো চাপই তাঁকে দমাতে পারেনি। দলের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, গণমানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

২০০৮ সাল থেকে মহাম্মদপুর গ্রাম বিএনপির সভাপতি এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর সংগঠকসুলভ দক্ষতা, সাহসিকতা ও ত্যাগ আজকের যুবরাজনীতির জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি রাজনীতি করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, দলের জন্য। আমার পিতা যেমন সততা ও আদর্শের পথ দেখিয়েছেন, আমিও সেই পথে থাকার চেষ্টা করেছি। মামলা-হয়রানি এসেছে, কিন্তু মাথা নত করিনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি—সত্যের জয় হবেই। বিএনপি হচ্ছে গণমানুষের দল, এই দলের প্রতিটি কর্মী আমার পরিবার। আজকের দুঃসময়ে, যখন স্বৈরাচারী সরকার মিথ্যা মামলা, দমন-পীড়ন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করতে চায়, তখন মোঃ শরিফুল ইসলামের মতো নেতারা আমাদের আশা ও প্রেরণার উৎস। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, একজন নির্ভীক আদর্শযোদ্ধা, যাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক জীবনে সর্বদা শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আদর্শ ও নেতৃত্বকে শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুসরণ করেছি। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম করেছেন, তা থেকে তিনি অনুপ্রেরণা নিয়েছি। শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণযুগে যে সোনালী স্বপ্ন দেখা হয়েছে, তা তিনি আজও স্মরণ করেন। খালেদা জিয়ার সাহসী নেতৃত্ব ও সংগ্রামী মনোভাব তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, আর তারেক রহমানের সাহসিকতা ও দলের প্রতি আনুগত্য তাঁকে আরও দৃঢ় ও অটল করেছে।

তাদের প্রতি তার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও গভীর অঙ্গীকার আমার রাজনৈতিক যাত্রায় অবিচল করেছি। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁরা সবাই তাঁর শক্তি, প্রেরণা ও চিরকালীন পথপ্রদর্শক হয়ে কাজ করতে চাই।

মটমুড়া ইউনিয়ানের অনেক নেতৃবৃন্দ জানান, দলের প্রতি তাঁর অনুগত ভূমিকা রেখে জনগণের সেবায় এগিয়ে যেতে চলেছেন। শরিফুল ইসলাম আজকের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অটল সৈনিক হিসেবে পরিচিত। তাঁর সংগ্রামী জীবন, নির্ভীক অবস্থান ও আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা, ভবিষ্যতের প্রজন্মকে প্রেরণা দেয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি তাঁর অবিচল আস্থা, জনগণের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা এবং সৎ নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ভালবাসা ভবিষ্যতের নেতা ও রাজনীতিকদের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

(Visited 59 times, 39 visits today)
Total Page Visits: 194 - Today Page Visits: 111