মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলা টেংরামারী গ্রামের সোহেল রানা। সোমবার সকালে জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোহেল রানা সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের আব্দুর রশিদ মন্টুর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল রানা বলেন, গত ১৪ আগষ্ট মেহেরপুর নিউজ ও ১৫ আগষ্ট দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রত্রিকায়“ সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। যা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি এই সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতি আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমার নামে হামিদুল হক যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা। হামিদুল হক সাহেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমদহ গ্রামে বসবাসকরেন। তিনি ২০০১ সালে টেংরামারী গ্রামের আব্দুর রশিদ (মন্টু) আমার পিতার কাছে থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয় সৌদী আরবে ভাল চাকুরী দিবে বলে। পরবর্তীতে তিনি সৌদী আরব পাঠাতে ব্যর্থ হন। সে সময় হামিদুল হক এবং টেংরামারীর মামলত বিশ্বাসকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন আমার পিতা। কিন্তু হামিদুল হক তৎকালীন বিএনপি’র নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন এবং টাকা চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখাতো। হামিদুল হক টাকা না দিয়ে দীর্ঘদিন মেহেরপুর থেকে ঢাকায় পলাতক ছিলেন। হামিদুল হকের পরিবার সাহেবপুর গ্রাম থেকে আমদহ গ্রামে আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদের বাসায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। হামিদুলহক মেহেরপুর থেকে ঢাকায় গ্রায় ১৪ বছর পলাতক ছিলেন। বর্তমান হামিদুল হক আমদহ গ্রামে বসবাস করিতেছেন। হামিদুল হক দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকায় আমার আব্বা আব্দুর রশিদ খোঁজ খবর পায় নাই এবং ঐ সময় বিএনপির প্রভাব থাকায় আমার আব্বা টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হন। চলতি মাসের ৭ই আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে আমার মোবাইল নম্বর থেকে কল করি হামিদুল হককে এবং কথপথনে ‘আঙ্কেল’ হিসাবে সম্বোধন করি ও বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার জন্য উভয় পক্ষকে বসতে বলি। হামিদুল হক বসতে রাজী হয়। হামিদুল হক আমাকে বলে, ১৪ই আগস্ট শুক্রবার আমদহ অথবা টেংরামারী গ্রামে বসে বিষয়টি সমাধান করবে এবং আমি মোবাইলে কথা বলার সময় ভদ্র ও সাবলিল ভাষায় কথা শেষ করি। কিন্তু ১৩ই আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ সন্ধ্যার সময় আমি হামিদুল হককে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বসতে অস্বীকৃতি জানান এবং ১৪ই আগস্ট শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর সদর থানায় আমার নামে চাঁদাবাজীর মিথ্যা অভিযােগ করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন। হামিদুল হকের সঙ্গে মোবাইলে কথা সময় সমস্ত কল রেকর্ড আছে, যা আপনারা চাইলে আমি দিতে প্রস্তুত আছি। তাই আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মেহেরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
(Visited 1 times, 1 visits today)