মেহেরপুরে দিনব্যাপি প্রবীনদের নিয়ে মিলনমেলা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়ে গেল।
শনিবার মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দ্যোগে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
এলাকার প্রায় ২ শতাধিক প্রবীন অংশ নেয় এ মিলনমেলায়।
আয়োজন করা হয় শৈশবের খেলাধুলা। এমন আয়োজনে খুশি উপস্থিত থাকা প্রবীণরা। ইন্টারনেট আর স্যোসাল মিডিয়ার প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন ঐতিহ্য। আয়োজকেরা বলছেন, প্রতিবছরই এমন উদ্দ্যোগ নেওয়া হবে। প্রবীনদের মিলনমেলায় সবাই মেতেছে আনন্দ উল্লাসে। অংশ নিয়েছেন শৈশবের ফুটবল, বালিশ খেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে তরুনরা প্রবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এর পর সকালের নাস্তা হিসেবে আয়োজন করা হয় গ্রামীন ঐত্যিহের চিড়া, মুড়কি, দই, গুড়, মিষ্টি দিয়ে। দুপুরে ভাত, খাসির মাংস, সবজি, ডালের আয়োজন হয়। পরে খেলাধুলায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ী প্রবীনদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে একে অপরের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন সকলে এবং সন্ধ্যার পর চকশ্যামনগর গ্রামবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দ্যোগে মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আয়োজক কমিটির সদস্য রকিবুল ইসলাম রকি বলেন, প্রবীনদের মিলনমেলা আমাদের একটিই উদ্দেশ্য যেন বছরে একটা দিন অন্তত সকল প্রবীণ ব্যক্তিদের এক জায়গায় করে যেন তাদের হাসি খুশি যে দিনটা সেই দিনটা যেন আমরা এনে দিতে পারি। কেননা প্রবীণরা বৃদ্ধ অবস্থায় তাদের চাহিদা সত্বেও অনেক কিছু করতে পারে না। তাদের ছোটবেলার যে হাসি খুশির দিনটা সেই দিনটা তারা কিন্তু ফিরে পায় না। আমরা যেন তাদের এই দিনটা ফিরে আনার জন্য আমরা এই অনুষ্ঠানটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এমন আয়োজন করে যাচ্ছি। আমাদের ২০ জন থেকে শুরু করে আজকে আমরা ২০০ জনের পা দিয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা এই ভাবে এই অনুষ্ঠানটি প্রতিবছরের ন্যায় চালিয়ে যেতে পারি।
প্রবীন মিলনমেলায় উপস্থিত আলতাব উদ্দিন বলেন আমাদের গ্রামের যত মুরুব্বী দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর আগে আমরা তখন ছোট ছিলাম তখন একসাথে খেলাধুলা করেছি অনেকদিন আমাদের একসাথে কিন্তু দেখা হয় নাই আজকে আমাদের সৌভাগ্য এই ছেলেদের মাধ্যমে আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। তবে একটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে অনেক পুরাতন যুগের একটি খাওয়া চিড়া, মুড়কি, দই, গুড়, মিষ্টি এই খাবারটা একবারে উঠে গেছে বলে মনে হয় এখন। ৪০-৪২ বছর আগে আমাদের শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদরে এই নাস্তাটাই বেশি দিত।