বাংলাদেশ হামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন বলেছেন, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করায় যারা সর্বোচ্চ কাজ করে সেই সেনাবাহিনীকেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ভারতীয় ও শেখ হাসিনার চক্রান্তে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে যেমন বিডিআর এর নাম পরিবর্তন করে বাহিনীটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরেরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপধারণ করে আন্দোলনে আসতে চাচ্ছে। কোন সময় আনসারলীগ, রিক্সালীগ, গার্মেন্টস শ্রমিকলীগ, ইস্কনলীগ সেঁজে মাঠে নামছে তারা।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার মনে করেছিল জামায়াতকে বাংলার মাটি থেকে নিঃশ্বেষ করে দেবে কিন্তু পারেনি। কারণ দেশের মানুষ জামায়াতের সাথে আছে। জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদেরকে অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে যা পৃথিবীতে কোন নজির নাই এই ধরনের বিচার যা মেনে নেয়া যায় না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুষ্টিয়া আঞ্চল টিম সদস্য ড: আলমগীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা আমীর মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর জারজিস হুসাইন, জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলার।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, গাংনী উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মো: আবু রায়হান।উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক।
কর্মী সমাবেশে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি, কর্মপরিষদ সদস্য, উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সম্মেলনে মনোমুগ্ধকর হামদে বারী ও ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করেন গাংনী আল আকসা শিল্প গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর জামায়াতে ইসলামী গাংনী উপজেলায় এই প্রথম কর্মী সম্মেলন করলো।
এদিকে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গাংনী উপজেলা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারের এসে সম্মেলনে যোগদান করেন।